যারা যারা কাঠপেনসিলকে ইতিমধ্যেই চিনে গেছো তাদের কাছে কাঠপেনসিলের পরিচয় নতুন করে দেবার প্রয়োজন নেই। যারা নতুন নতুন শুনলে, তাদের জন্য বলছি --
কাঠপেন্সিল্ [ কে? ] [+/-]
- কাঠ্পেন্সিল হচ্ছে বাচ্চাদের নিয়ে কিছু একটা করার ইচ্ছে। এমন কিছু ছেলেমেয়ে মিলে কাঠ্পেন্সিল এর পত্তন আমরা করেছি যারা ছোটবেলায় গল্প পড়তে ভালোবাসতো আর বই এ আঁকা সুন্দর সুন্দর ছবিগুলো দেখে আঁকাআঁকির চেষ্টা করতো। সেই থেকে ছবি আঁকার অভ্যেস। নানান কাজের মাঝে একটা জিনিস গল্প আড্ডায় বারবার উঠে আসতো... এখনকার বাচ্চারাও কি অমন সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকা বইগুলো পায়? আঁকা আঁকি করে? বই পড়ার পাগলামিটা কি এখনো একই রকম? আজকালের এতো এতো কার্টুন চ্যানেল আর ফেসবুক যন্ত্রনায় বই পড়ার অভ্যাসটা বোধহয় হারিয়েই যেতে বসেছে। প্রতিদিন ঢাকা শহরে বাচ্চাদের নিয়ে কতশত অনুষ্ঠান হয়, আলোচনা হয়... কিন্তু আসলে কাজ হয় কতটুকু? আমরা লেখক সাহিত্যিক নই, আঁকিয়ে শিল্পী ও নই। খুব কাজও যে করি তাও না, আসলে আকাজের লোক হিসাবে একটু আধটু বদনাম ও আছে। তারপর ও ভাবলাম চেষ্টা করতে দোষ কোথায়? সেই কাঠ্পেন্সিল এর যাত্রা শুরু। বই বের করা মূল উদ্দেশ্য নয়, আসল কাজটি হোল বাচ্চাদের বই কেমন হতে পারে সেটি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা, বাচ্চাদের উৎসাহী করে তোলা, আর বাচ্চাদের জন্য ইলাস্ট্রেশনের যে বিশাল জগত টি খানিকটা অবহেলাতে পরে আছে সেটা নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করা। বই প্রকাশ করাটা শুধু একটি উপায় মাত্র, আসল কাজ আড্ডা মারা। আর সেই আড্ডা মারার উৎসাহ হিসাবে আছে উপেন্দ্রকিশোর ও “সন্দেশ” পত্রিকা প্রকাশনার ইতিহাস, সুকুমার রায়দের লিমেরিক আড্ডা, কিংবা লন্ডনের ইঙ্কলিং নামের বাচ্চাদের প্রকাশনার আড্ডা, যে আড্ডায় জন্ম নেয় “লর্ড অফ দা রিংস” বা “ক্রনিকলস অফ নারনিয়া”র মত কালজয়ী বই। কাঠ্পেন্সিল এর আড্ডা এমন কিছু করতে পারবে কিনা জানিনা, কিন্তু তাই বলে স্বপ্ন দেখতে অসুবিধা কোথায়? আড্ডা জমতে জমতে এখন কাঠ্পেন্সিল এর ডেরায় অনেকেই জমে যায়। এদের অনেকেই বাচ্চাদের বইয়ের ইলাস্ট্রেটর, অধিকাংশই অ্যামেচার। তাই এখন আমরা বলি... “কাঠ্পেন্সিল উঠতি ইলাস্ট্রেটরদের একটি মিলনকেন্দ্র”। তারই সূত্র ধরে কাঠ্পেন্সিল এর কাজের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ওয়ার্কশপ, স্কিলের আদান প্রদান, এক্সিবিশন করার ইচ্ছে। আড্ডার লোক সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে আইডিয়া, এক্সপেরিমেন্টেশন, উৎসাহ। মাঝে মাঝে মনে হয় “কাঠ্পেন্সিল বুঝি একটা আন্দোলন”। তবে ভালো ভালো কথা এখানেই শেষ। অনেকটা যেন “ইচ্ছে আছে, সামর্থ্য নেই”। সামর্থ্যটি কিছুটা যদিও ফিনান্সিয়াল, তবে সেটি সমস্যা নয়... সমস্যা সময়ের সামর্থ্যের। আমরা যারা কাঠ্পেন্সিলে আছি, তারা মোটামুটি সবাই নানান কাজে যুক্ত, তার ফাঁকে সময় বের করাটাই মুশকিল হয়ে যায় অনেক সময়। আর চাকরি বাকরি করে এসে যখন একসাথে বসা হয়, তখন টায়ার্ড হয়ে আড্ডাটা খাওয়া দাওয়া আর খুনসুটিতে পালটে যায় অধিকাংশ সময়। তবে তাতে আমরা অখুশি নই মোটেও।
কাঠপেন্সিল্ [ কি? ] [+/-]
- কাঠ্পেন্সিল একটি ম্যাগাজিনের নাম, আবার একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ও নাম। কাঠ্পেন্সিল এর আড্ডার প্রথম প্রতিফলন ঘটে “কাঠ্পেন্সিল” নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশের মাধ্যমে। সেই ম্যাগাজিনটির তিনটি সংখ্যা বের হবার পর এখন আপাতত আমরা পত্রিকার বদলে আরও অন্যান্য বই প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু বইয়েই আমরা সীমাবদ্ধ থাকতে চাইনা। ইচ্ছে আছে আরও নানান এক্সপেরিমেন্টাল প্রকাশনার, এমনকি বাচ্চাদের নিয়ে নানান প্রোডাক্ট ও খেলনা ডিজাইনের। সবকিছু মিলিয়ে কাঠ্পেন্সিল একটি সংগঠন ও বটে।
কাঠপেন্সিল্ এর [ কারা? ] [+/-]
- যারা যারা চায় তারা সবাই কাঠ্পেন্সিলের। কাঠ্পেন্সিলে স্বাগতম সবাইকেই। ছবি আঁকতে পারলে, বা লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ভাল, কিন্তু না পারলেও ক্ষতি নেই। কাঠ্পেন্সিলের সদস্য হতে কোনও যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। তবে এখনো আমরা অফিসিয়ালি কাঠ্পেন্সিলের সদস্য করার ফর্মালিটি চালু করিনাই। তাই বলতে পারি, যার ই বাচ্চাদের নিয়ে কিছু একটা করার ইচ্ছে আছে, তাকেই আমরা মনে মনে কাঠ্পেন্সিলের দলে নিয়ে নিয়েছি। তারপর ও কাঠ্পেন্সিলের কিছু নাম বলার মত সদস্য আছে... তাদের সাথে একটু পরিচিত হওয়া যাক।
- মেহেদি হক [+/-]
- সম্প্রতি urban planning এ masters শেষ করলেও কার্টুনিষ্ট হিসেবেই বাজারে বেশি পরিচিত । বালকের 99%ই OK আছে শুধু ঐ ‘উন্মাদ’ পত্রিকার সাথে কাজ করতে করতে পুরোপুরি উন্মাদ হওয়া বাকি !
- শহীদুল্লাহ ফারুক [+/-]
- পেশায় স্থপতি, কিন্তু হলে কী হবে, নেশাতো সবসময় কি দিয়ে কি বানানো যায় । আজ অরিগামি তো কাল কাগজের নৌকা । বেশি চিন্তা করাতে কাজগুলো মাথাতেই হয়ে যায় বাস্তবের আর বেশি মুখ দেখা হয় না !
- মাহমুদুল ইসলাম ফরহাদ [+/-]
- এখনো ‘পরিপূর্ণ স্থাপত্য’ শেখায় ব্যস্ত, ফাঁকে ফাঁকে শেখানোতেও। ভাব, ভাবনা আর ভাবের জগত নিয়ে এমনই মশগুল থাকেন যে তার - “ ভাবতে ভাবতে যায় বেলা… …।”
- মাসরূর মামুন মিথুন [+/-]
- বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারী করেন, তাও আবার স্থাপত্য মার্কা দাঁত ভাঙ্গা বিষয়ে। কিন্তু বড়দের রেখে ছোটদের নিয়ে কাজ করাতেই আনন্দ বেশি, তাই বোধহয় এখনো দাঁত কামড়ে কাঠ্পেন্সিলের মূল কান্ডারীর দায়িত্তে যিনি অবিচল। তবে, মৌলিকত্বের খোঁজে প্রায়শই গভীর সমুদ্রে এমনই ডুব দ্যান যে দম না ফুরোনো পর্যন্ত তাকে যে আর পাওয়াই যায় না!
- টুম্পা [+/-]
- পেশায় স্থপতি নিশ্চিত কিন্তু নেষায় যে কী তা বোঝা মুশকিল! যেমন- কারাতে ব্ল্যাক বেল্ট থাকলেও সাঁতারে এখনও আনাড়ী, আবার নিজ হাতে মাটি লেপে বাড়ী বানাতে ভালো লাগলেও সালসা নাচটা রপ্ত হয়নি এখনো। তবে যা না বললেই নয়, অদ্ভুত সব গল্প আর ছবি আঁকার পাশাপাশি তার পরিবেশিত অদ্ভুত খাবার ও টনিক চা না হলে কাঠ্পেন্সিলের কাজে গতিই আসেনা!
- চৌধুরী ফরিদ কনক [+/-]
- কাঠ্ পেন্সিলের একমাএ তরিৎগতির প্রকাশক, যিনি পেশায় একজন স্থ্পতিও বটে। যেকোন মূহুর্তে সব ছাপিয়ে দেয়ার পূর্ন প্রস্তুতি থাকা সত্তেও যার বেশিরভাগ সময় কাটে সম্পাদকের আশায়- কবে ম্যাটার হাতে পাবে!
- রিফাত আনোয়ার [+/-]
- এখনতো সবে বুয়েটের স্থাপত্যের ছাএ । বিজ্ঞানী হবার স্বপ্ন লিউটনের উপর ভর করে এঁকে বেড়াচেছ । কিন্তু সবসময় ‘বিটলু’ র মত বাস্তবে কারা যেন গুবলেট পাকিয়ে ফেলে, তখন সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে লম্বা একটা ঘুম দেয় । হাইবারনেশান আর কি !
- মুন্তাসির খালিদ দীপ [+/-]
- মুন্তাসির খালিদ। দীপ, দীপ্ত- নানারকম ডাকনামই আছে তার। আরও একটি পরিচয় আছে, সেটা পেশাগত, স্থপতি। এই কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে কর্মজীবনে এসে বেচারা একেবারে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে, আদর্শগুলো হোচট খাচ্ছে, ছাত্রাবস্থার কম্পিটিশনগুলোর পুরষ্কারগুলো স্মরণ করিয়ে দেয়- প্রাক্টিকাল লাইফে অত এক্সপেরিমেন্টের সুযোগ নেই। শুধু একটাই আগের মত আছে- অবাধে ছবি আঁকা। সেটাই এখন অনেক কিছু করার প্রেরণা, এক্সপেরিমেন্টাল মনটাকে বারবার ফেরত আনে।
- ফাহিমা দুররাত [+/-]
- ফাহিমা দুররাত, পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগে। তবে সংঘর্ষ একেবারেই পছন্দ নয় তার, বরং ছোটদের জন্য মজার মজার গল্প লিখে শান্তি পায় ফাহিমা। একের পর এক গল্প লিখে যেতে ক্লান্তি নেই কোনও। তবে লিখতে লিখতেই সারা, কবে সে বই ছোটদের হাতে পৌঁছাবে? উচ্চ শিক্ষার্থে লন্ডনে বসে সেটাই তার জিজ্ঞাসা...
- জিয়াউল ইসলাম
- পলাশ
- আশিক
- হিমু
- ভাক্ষস টিম
- আহসান হাবিব
- পুরো উন্মাদ টিম
- সৌমেন হাজরা
- সব্যসাচী মিস্ত্রি
- নকী ভাই ...
- এই লিস্টি বোধহয় শেষ হবেনা...
- একদিন সবার নাম তুলে দিব আলাদা একটা পাতা খুলে...
শুরুটা যাদের কাজ
যাদের ছাড়া সবই অচল
আরও যারা যোগ দিলো
যারা আছে উৎসাহতে
কাঠপেন্সিল্ স্টুডিও[ কোথায়? ] [+/-]
- কাঠ্পেন্সিল এর আড্ডার একটা নির্দিষ্ট জায়গা আছে, ভদ্র ভাষায় যাকে কাঠ্পেন্সিল এর অফিস বলা যায়। অফিসের ঠিকানাটি হোল...
বাড়ি ৩৭-৩৯, রোড-৮, ব্লক- খ, মোঃপুর পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শেকের টেক, মোঃপুর ঢাকা ১২০৭।
অফিসটি একতলায়, ডানদিকে... অধিকাংশ সময়ই সেটি খালি পরে থাকে, মাঝে মাঝে পরিষ্কার করা হয় (যখন না করলেই নয়)। আপাতত এটাই কাঠ্পেন্সিল এর বই পাবার একমাত্র যায়গা। তবে উন্মাদ অফিসে খোঁজ নিলে কাঠ্পেন্সিল সংক্রান্ত কিছু তথ্য পাওয়া যাবে, সেটা আহসান হাবিব ভাইএর বদান্যতা। যদি কেউ কাঠ্পেন্সিল অফিসে আসতে চাও, তবে আগে থেকে একটা ফোন দিয়ে নিলে ভালো হয়। ফোন নং- ০১৮১৯২৯৭৩২১। এই নম্বরটি মাসরূর মামুন ওরফে মিথুন এর, যাকে আমরা সবাই মিলে জোর করে এডিটর এর দায়িত্ব দিয়েছি।